রাহিলা খানম, বিজয়ের দিনে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকছে। |
তারপর প্রায় ১০/১১ মাস অনেকটা সময় কেটে গেছে। আজ আমার ফেসবুক বন্ধুর সংখ্যা ১০০০। আমি ভিষণ খুশি। প্রচুর লিখেছি প্রথম বাংলায় তারপর কেহহ আমার বোবা কান্নাটি শুনতে পায়নি। তারপর একদিন শুর করলাম হংরেজীতে। দেশ বিদেশে অনেক বন্ধু হল্। তাদের ভালবাসায় আমি একদিন ধন্য হলাম। আমার সততায় মুগ্ধ হয়ে একদিন তারিখ এহচ আগা খান অব পাকিস্তান তার মিশনের পেট্রোন নিযুক্ত করলেন। তারপর ওয়াল্ড পিচ গং এর প্রেসিডেন্ট দুজযু সানতানি আমাকে লিখেছেন-’’তুমি সত্যিহ বাংলার রানী,মানবতা ও শান্তির প্রতিক। আজ আমি সত্যিহ নিজেকে দু:খী দরিদ্রের রানী মনে করি।
তারপর একসময় ব্লগ লেখা শুরু করলাম। প্রচুর লিখেছি। একসময় আমি গত ১৬ ডিসেম্বর আমার বিজয় ঘোষণা করলাম।তারপর সত্যি সত্যি একসময় আমি আমার বিজয় দেখতে পেলাম। তারপর আমি পর্যায়ক্রমে আমার বিচার আমি দাবী করেছি-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, প্রধান বিচারপতি, আহনমন্ত্রী, সচিব, কৃষি মন্ত্রনালয়, মাননীয প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উপদেষ্টা ডা: সৈয়দ মোদা্চ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়।
আজ আর আমার কোন দু:খ,কষ্ট,যন্ত্রনা নেহ। যার জন্য আমি একদিন কৃষান কন্যাতে পরিনত হয়েছিলাম বাবার কাচিঁ হাতে নিয়ে আজ আর তার কোন প্রয়োজন নেহ। তাহ আজ কৃষান কন্যার মৃতু হয়েছে। আমি আমার সারাজীবনের বিচার এহ দেশের মানুষের উপর ও শেষ বিচারের দিনের জন্য রেখে দিয়ে ফিরে গেলাম আমার আগের অবস্থানে।
এখানে এসে অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছে। অনেকে আমাকে ভালবেসেছে,পছন্দ করেছে। আমিও তাদের ভালবেসেছি,পছন্দ করিছি । তবে এখানেও আমি গড দেখতে পেয়েছি। তার সংখ্যাও কম নয়।কারন আমার মত কৃষকের ছেলেমেয়েরা এসব সাহটে ঢুকতে পারেনা। আর যারা এখানে ঠিক তারাওত সেহসব পরিবার থেকে এসেছে আর তাদের সংখ্যাহ বেশি।
তবে এখানে ভাল মানুষের সংখ্যাও কম নয়। আমি তাদের মনে রাখব। আজ আমি ফেসবুক থেকে সাময়িকভাবে চলে যাচ্ছি-আমার সপ্নের কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনে। আমি ভালবাসি ও পছন্দ করি সবসময় দু:খী.দরিদ্র ও অসহায় ভাল মানুষগুলিকে। তাদের মাঝেহ আমি স্বাচ্ছন্নবোধ করি বেশি। যখন ভাল লাগবে সেখানে আমার দু:খী,দরিদ্র,অসহায় মানুষের মাঝে ঘুরে বেড়াব যারা একদিন আমাকে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে রানীর মর্যাদা দিয়েছিল। আমি তাদের জন্য সপ্নে দেখেছিলাম আমার রাহিলা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের যা্ আজকের কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন।
মনে পড়ছে-হেরোস নেভারস ডাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মানব সেয়ানা একদিন আমাকে তাদের হিরো হিসাবে চিহিৃত করেছিল এমনকি সে তার লেখায় লিখেছিল-কুহন অব বাংলা। সত্যি তার কাছে আমি বড় কৃতঙ্গ। আমি তাকে কোনদিন ভুলবনা্। ভুলবনা সেহ সব বন্ধুদের যারা কৃষান কন্যাকে সাময়িকভাবে হাসাতে পেরেছিল।
আমি আমার মাথার ঘুমটা,মুখের নেকাব খুলে ফেলেছিলাম কেবলমাত্র নিজেরকে নির্দোষ প্রমানের জন্য আমার দীঘ বিশ বছরের বিতর্কিত জীবনের অবসান ঘটানোর জন্য। কিন্ত পারিনি। দেখলাম এ দেশের শিক্ষিত সমাজপতিদের, দেখলাম সাংবাদিকদের, দেখলাম নারী নেত্রীদের, দেখলাম আপনজনদের। অবশেষে নিজের ঘুমটা নিজে টেনে দিয়ে আমি সরে গেলাম।আমি থাকবনা,তবে থাকবেন আমার লেখাগুলি, থাকবে আমার চ্যানেল যা আমার কথা বলবে।
দু:খ আমার এখানে যারা আমাকে ভালবেসেছে, শান্তনা দিয়েছে, আনন্দ দিয়েছে, আর্শিবাদ করেছে। সকলের প্রতি রহল আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা,ভালবাসা ও আর্শিবাদ। আমি কৃষান কন্যা আমার কথাবার্তা সবসময় কৃষকের মত।তাহ সকলকে বলছি-আমার উপর কেহ কোন রাগ রাখবেননা। আমি ছিলাম ভিষণ এগ্রেসিভ। তাহ অনেক সময় উদ্ধতভাবে অনেক কথা লিখেছি। তার জন্য ক্ষমা চাহছি আপনাদের কাছে। আমাকে ক্ষমা করবেন বোনের মত, বন্ধুর মত, মায়ের মত।
সকলের জন্য শুভ কামনা রহল।
শ্রদ্ধান্তে-
রাহিলা খানম (কৃষান কন্যা)
কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
২ জানুয়ারী/২০১১.
দেখলাম এ দেশের শিক্ষিত সমাজপতিদের, দেখলাম সাংবাদিকদের, দেখলাম নারী নেত্রীদের, দেখলাম আপনজনদের। অবশেষে নিজের ঘুমটা নিজে টেনে দিয়ে আমি সরে গেলাম।
ReplyDelete